News Brief: এই রাজ্য Passed away: Idris Ali না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বিধায়ক আইনজীবী ইদ্রিস আলী বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে পথে...
News Brief: এই রাজ্য
Passed away: Idris Ali
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বিধায়ক আইনজীবী ইদ্রিস আলী
বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘু অধিকার নিয়ে পথে নামতে দেখা যায়। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন পশ্চিমবঙ্গে তাঁর পরিচিতি এনে দেয়। বিধায়ক ইদ্রিস আলী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
প্রত্যয় অনলাইন ডেস্ক, ১৬ই ফেব্রুয়ারি:
৭৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করলেন মুর্শিদাবাদ এর ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইদ্রিস আলী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যানসার এবং বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই বৃহস্পতিবার রাত ২:২০ টায় ইন্তেকাল করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তৃণমূল শিবিরে। সূত্র মারফত জানা যায় বেলা ১১:০০ টায় বিধানসভায় তার মরদেহ রাখা হবে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইদ্রিস আলীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে প্রয়াত বিধায়কের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। বিধায়কের পরিবার সূত্রে জানা যায় খবর শুক্রবার বিকাল ৩:০০টায় গোবরার এক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
ইদ্রিস আলী মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। রাজ্যের চলতি বাজেট অধিবেশনে এক দিনের জন্যও বিধানসভায় যেতে পারেননি তিনি। পেশায় ইদ্রিস আলী আইনজীবী হলেও মাইনোরিটি ফোরাম নামে এক সংগঠন তৈরি করেন। তার হাত ধরেই সংখ্যালঘুদের মধ্যে কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন পরবর্তীতে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ইদ্রিসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু জাতীয় কংগ্রেসের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সোমেন মিত্রের ‘ঘনিষ্ঠ’ ইদ্রিস আলী সোমেন মিত্রের হাত ধরেই জাতীয় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী আসনে তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়ালেও জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসকদল। বিপুল ব্যবধানে জয়ী হন ইদ্রিস আলী। উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হলে তিনি জয়লাভ করেন। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে তাঁকে ভগবানগোলা আসন থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল।
ইদ্রিস আলী আইনজীবী হিসেবে কলকাতা হাই কোর্টের বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন। মৃত্যুকালে তার পরিবারের তাঁর স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক ছেলে রেখে গেলেন। রাজনৈতিক জীবনে খ্যাতির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁকে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের 'লজ্জা' উপন্যাসের জন্য ইদ্রিস আলী আন্দোলন করার জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার তাকে জেলে পাঠিয়েছিল।
COMMENTS