News Brief: আন্তর্জাতিক Hinduja Group গৃহ কর্মীর চেয়ে পোষা কুকুরের জন্য বেশি খরচ করে অভিযোগ উঠেছে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবার হিন্দুজার...
News Brief: আন্তর্জাতিক
Hinduja Group
গৃহ কর্মীর চেয়ে পোষা কুকুরের জন্য বেশি খরচ করে অভিযোগ উঠেছে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবার হিন্দুজার বিরুদ্ধে!
গোপীচাঁদ পি হিন্দুজা (ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত)

গৃহ কর্মীর চেয়ে পোষা কুকুরের জন্য বেশি অর্থ খরচ করে ব্রিটেনের অন্যতম ধনী পরিবার হিন্দুজা। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে মানব পাচারের মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ। এছাড়াও আরও বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে এই ধনী পরিবারটির বিরুদ্ধে।
প্রত্যয় অনলাইন ডেস্ক:
ব্রিটেনের অন্যতম ধনী হিন্দুজা পরিবার তাদের গৃহকর্মীদের চেয়ে পোষা কুকুরের জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করে থাকে বলে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালতে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। মানবপাচার ও কর্মীদের নিজের স্বার্থে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে এ পরিবারের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ী ব্যক্তিদের কারাদণ্ড হতে পারে।
আদালতে আইনজীবী ইভেস বারতোসা বলেন, একজন গৃহকর্মীর চেয়ে তারা তাদের একটি পোষা কুকুরের জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করে থাকেন। আইনজীবীরা দাবি করেন, একজন নারী গৃহকর্মীকে দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় মাত্র ৬.১৯ সুইস ফ্রাঁ। সপ্তাহের সাত দিনই তাদের দিয়ে কাজ করানো হয়ে থাকে।
আইনজীবী আরও বলেন, গৃহকর্মীদের সঙ্গে চাকরির চুক্তিতে কাজের সময় বা সাপ্তাহিক ছুটির বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো কিছুর উল্লেখ থাকে না। কর্মীদের পাসপোর্টও এ পরিবারটি নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মীর কাছে খরচ করার মতো কোনো সুইস ফ্রাঁও থাকে না। কারণ তাদের বেতন পরিশোধ করা হয় ভারতে।
আদালতকে আইনজীবী বলেন, চাকরিদাতার অনুমতি ছাড়া গৃহকর্মীরা বাড়ির বাইরে যেতে পারেন না। এ পরিবারে তাদের কোনো স্বাধীনতা নেই।
আইনজীবীরা অজয় হিন্দুজা ও তার স্ত্রী নম্রতাকে কারাদণ্ড দিতে আদালতের কাছে আবেদন জানান। তারা আদালতে মামলার খরচ বাবদ এ পরিবারের কাছে ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ এবং কর্মীদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও ৩৫ লাখ ফ্রাঁ দাবি করেন।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে হিন্দুজা পরিবার। তাদের পক্ষে সাফাই গেয়ে নিয়োগকৃত আইনজীবীরা বলেন, কেবল গৃহকর্মীদের বেতন দিয়ে সবকিছু বিচার করলে হবে না। তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থাও করে থাকে হিন্দুজা পরিবার। সেখানেও তাদের পেছনে নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ আছে। এ পরিবারের সদস্যরা গৃহকর্মীদের সঙ্গে মর্যাদার সঙ্গে আচরণ করেন। কৌঁসুলিরা গৃহকর্মীদের বেতন নিয়ে রঙচঙ মিশিয়ে আদালতে যা বলেছেন, তা মিথ্যা।
COMMENTS