🔴Breaking News: Hathras Stampede: অভিশপ্ত হাথরস, এ বার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পদপিষ্ট হয়ে মৃত শতাধিক পুর্ণার্থী মঙ্গলবার হাথরসের রতিভানপুরে এক...
🔴Breaking News:
Hathras Stampede:
অভিশপ্ত হাথরস, এ বার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পদপিষ্ট হয়ে মৃত শতাধিক পুর্ণার্থী
মঙ্গলবার হাথরসের রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যায় মানুষ একত্রিত হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সামাল দেয়ার মত পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
![]() |
ছবি সংগৃহীত |
প্রত্যয় অনলাইন ডেস্ক
আবারও কুখ্যাতি কুড়িয়ে নিল উত্তর প্রদেশের হাথরস। উঠে এল শিরোনামে। এ বার এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সঙ্গে অনেকের। এই ঘটনায় শতাধিক পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে। আলিগড়ের পুলিশ কমিশনার চৈত্রা ভি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া তথ্যে জানিয়েছেন ওই ঘটনায় প্রায় ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হসপিটালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, রতিভানপুরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠান শেষ হতেই একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী জমায়েত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে কী কারণে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি।
প্রসঙ্গত, হাথরসে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এক দলিত তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। মায়ের থেকে ১০০ মিটার দূরেই ক্ষেতে কাজ করছিলেন তিনি। কন্যার চিৎকারের আওয়াজ শুনে তরুণীর মা ছুটে যান। সেখানে যেতেই দেখেন তাঁর কন্যা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। জিভ কেটে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। তরুণীকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জেএনএমসি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ১৪ দিন ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর তরুণীর মৃত্যু হয়। পরিবারকে না জানিয়ে রাতারাতি ওই তরুণীর দেহ সৎকার করারও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয় গোটা দেশ।আজ আবার পদপিষ্ট হয়ে পুর্ণার্থীদের মর্মান্তিক মৃত্যু সেই হাথরসেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আর তার সঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিকন্দরারাউ হাসপাতালে আহতদের নিয়ে গেলেও সেখানে চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিল না। হাসপাতালে এক জন চিকিৎসক ছিলেন। চিকিৎসার গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
COMMENTS