News Brief: এই দেশ Hathras Stampede: হাথরসের মর্মান্তিক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জামাআতে ইসলামী হিন্দের মঙ্গলবার হাথরসের যে মর্মান্তি...
News Brief: এই দেশ
Hathras Stampede:
হাথরসের মর্মান্তিক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জামাআতে ইসলামী হিন্দের
মঙ্গলবার হাথরসের যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করল জামাআতে ইসলামী হিন্দ। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার দায় কোন অবস্থায় এড়িয়ে যেতে পারে না প্রশাসন।
প্রত্যয় অনলাইন ডেস্ক, ৫ই জুলাই:
উত্তর প্রদেশের হাথরসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করল জামাআতে ইসলামী হিন্দ। সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে জামাআতের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিম ইঞ্জিনিয়ার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাতে অন্তত ১৩০ জন পদপিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছে। হতাহতদের অধিকাংশই মহিলা। এই হৃদয় বিদারক ঘটনায় জামাআতে ইসলামী হিন্দ গভীরভাবে দুঃখ ও শোক জ্ঞাপন করছে এবং নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। যদিও এই বিয়োগান্তক ঘটনায় শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোকে এই কঠিন সময়ে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমাদের নেই।
রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, এমন মর্মস্পর্শী দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ বা রহস্য উদঘাটনে সরকারের উচিত পুরো ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা। তাঁর কথায়, এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর আহ্বানে বহু মানুষের জমায়েত হয়েছিল। তাই সেখানে আপৎকালীন দুর্ঘটনা এড়াতে বা নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা, সেটা জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি এতবড় দুর্ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যর্থতাকে দায়ী করে জামআত নেতা সেলিম সাহেব বলেন, এত মানুষের ভিড় সামলাতে আয়োজকদের উদাসীনতা এবং পুলিশ-প্রশাসনের গাফিলতি অনস্বীকার্য। এছাড়া প্রশাসনিক স্তরে ওই প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ছিল না। ফলে আকস্মিক কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কীভাবে আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, সে সম্পর্কে তারা অন্ধকারে ছিল। এসব কারণেই প্রশাসনের নাকের ডগায় এতবড় দুর্ঘটনা এবং অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
তাঁর কথায়, এতগুলো মানুষের অকালমৃত্যু খুবই বেদনাময়। তাদের জীবন ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনকে আরও সজাগ হতে হবে এবং কড়া পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে একই রকম দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না হয়। সবশেষে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যে কোন ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে জনসমাগম হলে, সেখানে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে মানুষের জীবনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ ও নিরপাত্তার সুবন্দোবস্ত করতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষের জীবনহানি এড়ানো যায়, সেই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার ও পুলিশ-প্রশাসনকে আরও সংবেদনশীল হতে আহ্বান জানান তিনি।
COMMENTS