News Brief: ধর্ম ও সমাজ Morality is Freedom 'নৈতিকতাই স্বাধীনতার ভিত্তি' প্রচারাভিযানের কলকাতা কনভেনশন নারীজাতির প্রতি শ্রদ্ধা, ...
News Brief: ধর্ম ও সমাজ
Morality is Freedom
'নৈতিকতাই স্বাধীনতার ভিত্তি' প্রচারাভিযানের কলকাতা কনভেনশন
নারীজাতির প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি, সম্মান না থাকলে সে জাতির ধ্বংস অনিবার্য: স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ
বিভিন্ন জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অডিটরিয়ামে জামাআতে ইসলামী হিন্দের মহিলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল রাজ্য কনভেনশন।
প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক, কলকাতা, ২১ শে সেপ্টেম্বর:
কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে পবিত্র কুরআনের আলোচনার মাধ্যমে জামাআতে ইসলামী হিন্দের মহিলা শাখার উদ্যোগে 'নৈতিকতাই স্বাধীনতার ভিত্তি' কনভেনশন শুরু হয়। আলোচনা পেশ করেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাওলানা এএফএম খালিদ। প্রারম্ভিক ভাষণে জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের সুপ্রশস্ত পথ। সবক্ষেত্রে নৈতিকতাই হোক স্বাধীনতার ভিত্তি। আধুনিক মনস্কতা ও চারিত্রিক অধঃপতন পারিবারিক বন্ধন শিথিল করছে। অপরাধ প্রবণতা সর্বত্র বাড়ছে। এসব রুখতে একমাত্র পথ হল ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে জীবন ও সমাজ পরিচালনা করা। জামাআতের প্রাক্তন আমীরে হালকা মুহা. নূরুদ্দিন শাহ বলেন, মানুষকে মানুষের যথাযথ স্থানে পৌঁছে দেয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। এটাই প্রকৃত মানবীয় গুণাবলী হওয়া উচিত। পাশ্চাত্যের ভোগবাদী চিন্তাধারা সমাজকে কলুষিত করছে। মানুষের সঙ্গে পাশবিক ও দানবিক আচরণ করা হচ্ছে। ফলে হাসপাতাল থেকে স্কুল এমনকি মন্দিরেও ধর্ষণ হচ্ছে বা ধর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে। ধর্ষণের প্রতিবাদী মিছিলে পর্যন্ত ধর্ষণ হচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত করতে গিয়ে থানায় পুনরায় ধর্ষিতা হচ্ছেন অসহায় মহিলা। তার মানে আগুন নেভাতে পানি নয়, পেট্রোল দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির রমরমা। বিছানায় শুয়ে তরুণ প্রজন্ম অনলাইনে সাট্টা, লটারি খেলছে। সরকারের বাজেট ঘাটতি পূরণ করছে মদ, ড্রাগ ইত্যাদি। আবগারি দফতরের তাই এত কদর। সরকার মদ ব্যবসা ও দেহ ব্যবসায় ঢালাও লাইসেন্স দিচ্ছে। সমকামিতা, বহুগামিতা, বিবাহ বহির্ভূত অবাধ যৌনতা, লিভ টুগেদার, লিভ ইন রিলেশন ইত্যাদি ছাড়পত্র পেয়েছে। অর্থাৎ সমাজ ধ্বংসের যাবতীয় উপাদান উপকরণ সহজলভ্য করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং সমাজ তো রসাতলে যাবেই। চিন্তাভাবনার দৈন্যদশা সবকিছুকে গ্রাস করছে। এর একমাত্র অ্যান্টিভাইরাস হল কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা। অবক্ষয়িত মানবতার রক্ষাকবচ হল নৈতিকতা, মূল্যবোধ সংবলিত ঐশী পথনির্দেশনা। এটাই আদর্শ জীবনদর্শন হওয়া কাম্য। যা ইচ্ছা তাই করা নয়, এ জীবন হল পরীক্ষাগার। সকল কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এই চেতনাই মানুষকে ও সমাজকে সংশোধন করতে পারে। দেশ ও দশকে পরিশুদ্ধ করতে সক্ষম। মানুষকে মানুষের সবরকম গোলামী থেকে মুক্ত করতে হবে। কেউ শ্রেষ্ঠ আর কেউ নিকৃষ্ট নয়। বিশ্বের সব মানুষ এক আল্লাহর বান্দাহ। সবার শরীরে একই রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। তাই মানুষকে বৈষম্যের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এই শাশ্বত শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন বিশ্বনবী (সা.)।
রামকৃষ্ণ মিশন ও অ্যানসেস্ট্রাল হাউস অফ স্বামী বিবেকানন্দ অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার এর সেক্রেটারি স্বামী জ্ঞানলোকানন্দজী মহারাজ বলেন, ঈর্ষা, ঘৃণা, ক্রোধের কাছে আমরা পরাজিত হচ্ছি এবং এসবের কাছে পরাধীন হয়েছি। এ থেকে মুক্তির চিন্তা করতে হবে। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়? আজকের এই মনোজ্ঞ কনভেনশনের আয়োজক জামাআতে ইসলামীর মহিলা বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, পিতার চাইতে গর্ভধারীনি মাতা শ্রেষ্ঠ। ইসলাম ধর্মে মায়ের পায়ের নীচে জান্নাত বলা হয়েছে। নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) পিতার তুলনায় তিনগুণ বেশি মর্যাদা দিয়েছেন মাতাকে। মায়ের সমতুল্য শিক্ষক আর কেউ হতে পারে না। সেই নারীজাতির প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি, সম্মান না থাকলে সে জাতির ধ্বংস অনিবার্য। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দেশ ও দশের আজ সবথেকে বেশি ক্ষতি করছে শিক্ষিত মানুষরা। তাহলে আমরা কোন শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি? নীতি-নৈতিকতা বর্জিত এই শিক্ষায় প্রীতি-সম্প্রীতি কোথায়? এত অসহিষ্ণুতা কেন? কেন এত ঘৃণা-বিদ্বেষ? তাঁর মতে ধৈর্য্য ও ক্ষমাই হল মূল কথা। দয়া, মায়া, স্নেহ, মমতা, ভালবাসা, প্রীতি হল আমাদের আত্মার আত্মীয়। এগুলোর সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে সুখ-শান্তি, সম্প্রীতি অটুট হবে।
জামাআতের রাজ্য সম্পাদিকা মঞ্জুরা খাতুন বলেন, আজ ডিজিটাল যুগে নৈতিকতার বড়ই অভাব। মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সংকট প্রকট। অধিকার নিয়ে আমরা চিন্তা করি, কিন্তু দায়িত্ব-কর্তব্যের কথা ভুলে যাই। নৈতিকতা হল মূল্য এবং বোধের সমষ্টি। হযরত আলী (রা.) বলেছিলেন, সম্পদকে পাহারা দেয় মানুষ; কিন্তু মানুষকে পাহারা দেয় জ্ঞান। এই জ্ঞান হতে হবে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের নির্যাস। এই দুয়ের সংমিশ্রণ হলে তবেই একজন মানুষ সত্যিকার অর্থে মানব সম্পদ হয়ে উঠবে। আর নারীজাতিই হল মানব সম্পদ তৈরির খনি বা উৎস। পুরুষকে সন্তান ধারণের ক্ষমতা দেননি সৃষ্টিকর্তা। পৃথিবীকে সাজানোর দায়িত্ব দিয়েছেন আল্লাহ। সেই নারীকে আজ স্বাধীনতা, অধিকার ও ক্ষমতায়নের নাম করে কত নীচে নামিয়ে আনা হয়েছে। চাঁদে, মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু নারীর সত্তাকে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। নারীকে ভোগ্যপণ্যে পরিণত করা হয়েছে। অথচ নারী কখনও ভোগের নয়; বরং নারী হল ত্যাগের প্রতীক। তাই ইসলাম বলছে, নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তার রক্ষাকবচ হল পর্দা বা শালীন পোশাকবিধি। পর্দা শুধু বাহ্যিক পোশাক নয়, পর্দা অন্তরের চেতনা ও চিন্তাভাবনায় থাকবে। তবেই সংসার, পরিবার, সমাজ সুরক্ষিত হবে, সুসংহত হবে। নারীকে তার উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদা পেতে হলে নিজেকে শালীনতার পোশাকে আবৃত হতে হবে।
পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক তথা রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান বলেন, সমাজে প্রচলিত সবরকম খারাবী দূর করতে হবে। কিন্তু কে করবে? আইন তৈরি করে তো সবকিছু করা সম্ভবপর নয়। সমাজ সংস্কারের দায়িত্ব নিতে হবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনকে। এ জন্যই মানুষকে আল্লাহ সূষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব করে দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। মানুষের দায়িত্ব হল ন্যায়ের প্রতিপালন এবং অন্যায়-জুলুমকে প্রতিরোধ করা। ইসলামের গাইডলাইন মেনে চললে অভিশাপ-মুক্ত হবে সমাজ। পৃথিবী আমাদের বাসযোগ্য থাকবে। তাই আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আওয়াজ উঠছে, 'ব্যাক টু দ্য বেসিক।' দেড় হাজার বছর আগে কুরআন বলেছে, 'ফা ফিররু ইলাল্লাহ', অর্থাৎ ফিরে এসো আপন প্রভুর দিকে। স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কী হচ্ছে? কোথায় রাষ্ট্রসংঘ, কোথায় মানবাধিকার? গাজাবাসীর কি কোনো স্বাধীনতা নেই, তাদের কি মানবাধিকার নেই? ইমরান সাহেব আরও বলেন, আমেরিকা-ইউরোপ যদি অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা বন্ধ করে দেয় তাহলে হামাস জয়ী হবে এবং ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হবে। গাজাবাসীর পাশে আন্তর্জাতিক মহল নেই, কিন্তু তারা একমাত্র আল্লাহর ভরসায় এই যুদ্ধে ১১ মাস ধরে ইসরাইলকে প্রতিরোধ করছে। তিনি এও বলেন, শুধু গেল গেল রব তুললে হবে না, নেতিবাচক চর্চা বা আক্ষেপ করলে হবে না, তরুণ প্রজন্মের সামনে বিকল্প সংস্কৃতি, বিকল্প প্ল্যাটফর্ম উপহার দিতে হবে। তাওহীদের ব্যাপারে কোনো আপস করা যাবে না। এমন একটা গভীর সামাজিক সংকট উত্তরণের পথ অন্বেষণে এই কর্মসূচি নেওয়ায় জামাআতে ইসলামীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
জামাআতের জাতীয় সম্পাদক ও প্রাক্তন আমীরে হালকা মাওলানা আব্দুর রফিক বলেন, প্রত্যেককেই স্বাধীন করে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমরা সেই স্রষ্টা প্রদত্ত স্বাধীনতা পাইনি। যা পেয়েছি, তার ক্রাইটেরিয়া কী? এই স্বাধীনতার মানদণ্ড কী? আর কেমনটা হওয়া উচিত – এই দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হবে। স্বাধীনতা যথার্থভাবে পেতে হলে মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই পরিবেশ বল্গাহীন বা অবাধ স্বাধীনতার কারণে প্রকৃত স্বাধীনতা তার স্বরূপ হারাচ্ছে। তাঁর কথায়, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের আধারে গঠিত হবে সমাজ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বললে যদি পিটিয়ে হত্যা কিংবা জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, এই আশঙ্কা থাকলে স্বাধীনতা পূর্ণমাত্রায় থাকতে পারে না। অন্যের বিপদে-দুঃখে, প্রতিবেশীর সমস্যায় একজন মুসলমান ঝাঁপিয়ে পড়বে, সমব্যথী হবে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে – এটাই ইসলামের নৈতিক শিক্ষা। অন্যায় দেখে চুপ থাকলে আখেরাতে সেই ব্যক্তিকে অন্ধ করে তোলা হবে। তাই সাবধান। মুসলমানকে ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধ গর্জে ওঠা, প্রতিবাদে শামিল হওয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এই শর্ত পূরণ না হলে সে মনুষ্য পদবাচ্য নয়, আল্লাহর দরবারে মুসলমান হিসেবেও গণ্য হবে না।
সমাপ্তি ভাষণে আমীরে হালকা ডা. মসিহুর রহমান বলেন, নৈতিকতা এবং স্বাধীনতা দুটো বিষয়কে আলাদা করে দেখলে হবে না। সব দেশেই সভ্য সমাজে স্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানেও স্বাধীনতা, সাম্য, মৈত্রীর কথা আছে। স্বাধীনতা না থাকলে তাকে আনসিভিলাইজড বলা হয়। সেটা সভ্যতার পরিপন্থী। তাই স্বাধীনতাকে কোনভাবেই হরণ করা যাবে না। তাহলে সামাজিক বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী। স্বৈরাচার, ফ্যাসিজম, সামরিকতন্ত্র থাকলে স্বাধীনতা ভূলুন্ঠিত হয়। স্বাধীনতাকে বলাৎকার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ইংল্যান্ডে সপ্তদশ শতকে বিপ্লবের পর থেকে স্বাধীনতার ধারণা গড়ে ওঠে। ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লব এর পর স্বাধীনতার দাবি উচ্চারিত হয়। কিন্তু এটা সঠিক নয়। হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যখন বিশ্ব-সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক আন্দোলন ও সমাজ সংস্কারের মাধ্যমে সমাজ বিপ্লবের কাজ শুরু করেন, সেই থেকেই স্বাধীনতার শুরুয়াত। তাই বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সফল ব্যক্তি হলেন নবী (সা.)। পুঁজিবাদ, ভোগবাদ, বস্তুবাদ, পরকীয়া, সমকামিতা, অবাধ যৌনতা – এসব কি মানবতার জন্য কল্যাণকর? এর বৌদ্ধিক চর্চা হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন ডা. মসিহুর রহমান। নৈতিকতা বিবর্জিত স্বাধীনতার কারণে যা ইচ্ছে, তাই হচ্ছে। সেখানে কোনো লাগাম বা নিয়ন্ত্রণ নেই। তারই পরিণামে সামাজিক সংকট, নৈতিক অবক্ষয়, মূল্যবোধের বিপর্যয় ত্বরান্বিত হচ্ছে।
তিনি এও জানান, পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে আমেরিকায় ৬৯ শতাংশ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। ভারতে খুব শীঘ্রই এটা ৫০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। কারণ, হিসেবে তিনি বলেন, স্বাধীনতার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। নৈতিকতার ধারণাকে সর্বত্র বলবৎ করতে হবে। নৈতিক আপেক্ষিকতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। এর মাধ্যম হল ঐশী পথনির্দেশিকা। এবং আল্লাহর হেদায়াত, তাওহীদ বা একত্ববাদ মানুষের সামনে স্পষ্ট করতে আহ্বান জানান তিনি। এও বলেন, বিশ্বনবী (সা.) এর প্রদর্শিত পথ ও পন্থাকে অনুসরণ ও অনুশীলন করলে সমাজে অনাবিল সুখ-শান্তি আসবে। সবশেষে তিনি বলেন, ইসলাম হল একমাত্র বিকল্প, ইসলামই হল একমাত্র প্রতিষেধক।
এছাড়াও এদিনের প্রোগ্রামে আলোচনা পেশ করেন ও উপস্থিত ছিলেন জামাআতে ইসলামীর রাজ্য সেক্রেটারি মাওলানা তাহেরুল হক, শুরা সদস্য আব্দুল আজিজ , মুস্তাফিজুর রহমান , এসআইও-র রাজ্য সভাপতি সাঈদ আল মামুন, সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্ট এর রাজ্য সভাপতি ওসমান গনি সহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
COMMENTS