বিশেষ প্রতিবেদন: এই দেশ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের ভয়ঙ্কর অবস্থানে ভারত রাকিবুল ইসলাম প্রকাশিত হয়েছে এই বছরের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স, তথা বি...
বিশেষ প্রতিবেদন: এই দেশ
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের ভয়ঙ্কর অবস্থানে ভারত
রাকিবুল ইসলাম
প্রকাশিত হয়েছে এই বছরের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স, তথা বিশ্ব ক্ষুধা সূচক। রিপোর্ট বলছে, ভারতের অবস্থান পূর্বের চেয়ে বেশি খারাপ। সোজা কথায়, ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ভারতে। ২০২২ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স-এ ১২১ দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১০৭। সবচেয়ে ভাবনার বিষয় রাজনৈতিকভাবে অস্থির শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেরও পরে অবস্থান ভারতের। ক্ষুধার সূচকে একমাত্র যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত দেশের পিছনে চলে গিয়েছে ভারত। পূর্বে যে খুব ভালো অবস্থানে ছিল তা নয়, তবে আগের থেকে ৬ ধাপ পিছিয়েছে ভারত।
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের এবারের স্কোর ২৯.১। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের এই তালিকা প্রকাশ করেছে ইউরোপের একটি এনজিও। মূলত চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই সূচক নির্ধারিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম নির্ধারক মাপকাঠি হল- অপুষ্টি, শিশু অপচয় ও শিশুমৃত্যু এবং শিশুর যথাযথ বৃদ্ধি। অর্থাৎ চাইল্ড স্টান্টিং। শিশু স্টান্টিং বলতে বোঝায়, শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি যথাযথ না হওয়া; পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর তার বয়সের তুলনায় উচ্চতা যদি কম হয়, তবে সেই শিশু স্টান্টিংয়ের শিকার। আর শিশু অপচয় হল, উচ্চতার তুলনায় কম ওজনসম্পন্ন শিশু। মূলত এই কয়েকটি পরিমাপের নিরিখেই এই সূচক তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
দেশে এত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থাকার পরও দেশে ক্ষুধার সূচকের গ্রাফ নিচের দিকে কেন? এ প্রশ্নের উত্তর এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয় শরীরের কোন নির্দিষ্ট অঙ্গে যদি মাংস জমা হয় তবে সেটাকে সুস্বাস্থ্য বলা চলে না বরং বলা হয় শারীর গণ্ডগোল করেছে। তেমনি বিশ্বের ১০০ জন ধনকুবেরের তালিকায় জনা দশেকের নাম থাকলেই দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো হয়ে যায় না। করোনকালীন চরম পরিস্থিতি যে একদিকে বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের ভয়ঙ্কর আর্থিক অনাটনের মধ্যে পড়ে, অন্য দিকে দেশে শিল্পপতিদের মুনাফা বেড়েছে ১০০-১৬০ গুণ।
কেন্দ্র সরকারের পরিকল্পনাহীন বাজেটের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের অগ্নিমূল্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গড়পড়তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরকারী চাকুরীজীবী, বিভিন্ন বড়ো বড়ো কম্পানির কর্মচারী, ব্যবসায়ী এদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার সামান্য অংশ। এরা মোট জনসংখ্যার ১০%-২০% হবে। এদের অর্থনৈতিক অবস্থান অনেকাংশে মজবুত। সরকারের বাজারদর এই স্বল্পসংখ্যক লোকের দিকে তাকিয়ে ঠিক হচ্ছে ফলে সমাজের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী যারা অসংগঠিত তারা থেকে যাচ্ছে উপেক্ষিত।
ক্ষুধার সূচকের সূচকগুলো সবচেয়ে পুষ্টিকর খাদ্যের উপর নির্ভর করছে। সেক্ষেত্রে গড়পড়তা মানুষের কাছে সুষম খাবার না পৌঁছালে ক্ষুধার সূচকে অবস্থান ভালো হবে না।
শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নেপাল অন্য সবকিছুতে পিছিয়ে থাকলেও অন্তত ক্ষুধার সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। এর কারণ গড়পড়তা মানুষের জীবন ধারণের মন প্রায় একই আছে। তাদের ফোর্বসের কভার হওয়ার মত শিল্পপতি না থাকলেও অন্তত জনগণের জীবনযাত্রার মান খুব বেশী পার্থক্য নেই।
চলতি বছরের বিশ্ব ক্ষুধার সূচকে যে তথ্য উঠে এসেছে সেটা নিয়ে রাজনীতি না করে বরং কিভাবে এই পরিস্থিতি ভালো করা যায় তার পরিকল্পনা রচনা জরুরী। তবে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হল সরকার দেশের ঘুণ ধরা অর্থনীতি জনগণের চোখের আড়াল করতে বিভিন্ন সাম্প্রতিক ইস্যু খাঁড়া করে জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরীর চেষ্টা করছে। যাতে জনগণ মূল সমস্যা থেকে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকে।
Remember casinos 코인카지노 rig the foundations of the game against you, to allow them to} stay profitable. While half in} it safe is often the wisest course, generally you have to to|you must} take a leap of religion have the ability to} come out on top. This could mean wagering your whole loss restrict on 5/1 odds, or refusing to fold a mediocre hand when the pot has grown to an unprecedented dimension. If you’ve weighed all of the attainable outcomes carefully, there’s a good probability that your confidence will be rewarded. Any gambler value their salt will inform you that the secret to success is recognizing when it’s time to quit.
উত্তরমুছুন