News Brief: এই দেশ কাশ্মীরে ‘হোয়াইট-কলার’ সন্ত্রাস চক্র ভেঙে দিতে মহিলা চিকিৎসক আটক বহুরাজ্যজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক; লালকেল্লা বিস্ফোরণ তদ...
News Brief: এই দেশ
কাশ্মীরে ‘হোয়াইট-কলার’ সন্ত্রাস চক্র ভেঙে দিতে মহিলা চিকিৎসক আটক
বহুরাজ্যজুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক; লালকেল্লা বিস্ফোরণ তদন্তেও মিলছে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র
কাশ্মীরে সন্দেহভাজন “হোয়াইট-কলার” সন্ত্রাস মডিউলের সন্ধানে তদন্ত নেমে হরিয়ানার এক মহিলা চিকিৎসককে আটক করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। দক্ষিণ কাশ্মীরের আনন্তনাগের মালাকনাগ এলাকায় ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে রোহতকের বাসিন্দা ডা. প্রিয়াঙ্কা শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় কাউন্টার-ইনটেলিজেন্স টিম। তিনি সেখানে গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ (জিএমসি) আনন্তনাগে কর্মরত ছিলেন।
রেইডে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও সিম কার্ড ফরেনসিক পরীক্ষার অধীনে। জিএমসির সাবেক কর্মী আদিলকে গ্রেফতারের পর তার জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে একাধিক নাম— যারা নাকি নেটওয়ার্কটিকে আর্থিক বা লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছিল। সেই সূত্রেই তদন্তকারীরা পৌঁছন ডা. শর্মার ঠিকানায়। হরিয়ানা থেকে একটি ভেরিফিকেশন টিম শিগগিরই আনন্তনাগে পৌঁছবে।
উত্তর প্রদেশে নজরদারি বাড়ল
কাশ্মীরের সূত্র ধরে উত্তর প্রদেশেও শুরু হয়েছে ব্যাপক যাচাই। প্রায় ২০০ কাশ্মীরি-উৎপত্তির ছাত্র ও চিকিৎসককে নজরে রেখেছে রাজ্যের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড। কানপুর, লখনউ, মেরঠ, সাহারানপুরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করছে তারা।
এদিকে চলতি মাসের লালকেল্লা বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যুর তদন্তও নতুন মোড় নিচ্ছে। দিল্লি পুলিশের সমন্বিত অভিযানে হরিয়ানার আল-ফলাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই চিকিৎসকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির দুটি এফআইআর দায়ের করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
তদন্তকারীদের দাবি, মোহাম্মদ ও মুস্তাকিম— আটক দুই চিকিৎসক— বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির চালক উমর নাবির পরিচিত ছিলেন এবং ইতিমধ্যেই গ্রেফতার “হোয়াইট-কলার” চক্রের সদস্য ডা. মুজাম্মিল গণাইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। তাদের একজন বিস্ফোরণের দিন এমসিআই (AIIMS)–এর সাক্ষাৎকার দিতে দিল্লিতে এসেছিলেন।
বিস্ফোরক কিনতে খরচ হয়েছিল ২৬ লক্ষ টাকা
হরিয়ানা পুলিশ ডিনেশ ওরফে ডাব্বুকে আটক করেছে, যার বিরুদ্ধে বেআইনি সার বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ধারণা, সন্ত্রাসী মডিউলের সদস্যরা মোট ২৬ লক্ষ টাকা জোগাড় করে বিস্ফোরক উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন; তার মধ্যে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল এনপিকে সার কেনায়। ডিনেশ সেই সার সরবরাহ করেছিলেন কি না— তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
ওয়াজিরপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার এক চা–দোকানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। সিসিটিভিতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের আগে উমর সেখানে কয়েক মিনিট বসেছিলেন। সুনেহরি মসজিদ পার্কিং লটে গাড়িটি তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিল— সেখানে থাকা প্রতিটি গাড়ি এখন কড়া যাচাইয়ের আওতায়।
ফরিদাবাদ অঞ্চলে নিরাপত্তা অভিযান আরও জোরদার হয়েছে— ১৪০টি মসজিদ, ১,৭০০ ভাড়াটে, ৪০ সার–বীজের দোকান, ২০০ অতিথিশালা এবং কাশ্মীরের ৫০০-র বেশি ব্যক্তিকে যাচাই করা হয়েছে।

COMMENTS