বিশেষ প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনে দুই-রাষ্ট্র সমাধানে জোর: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আহ্বান 🔹হাইলাইটস: 🔹 রাষ্...
বিশেষ প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক
রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনে দুই-রাষ্ট্র সমাধানে জোর: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে আহ্বান
🔹হাইলাইটস:
🔹 রাষ্ট্রসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে ঐতিহাসিক সম্মেলন
২৮–৩০ জুলাই, জাতিসংঘ সদর দফতর, নিউ ইয়র্কে
🔹 ১২৫টির বেশি দেশের সমর্থনে ‘নিউ ইয়র্ক ডিক্লারেশন’ গৃহীত
🔹 দুই-রাষ্ট্র সমাধানে জোর: স্বাধীন, নিরস্ত্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি
🔹 গাজা যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক আহ্বান
🔹 ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ শাসন ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব
🔹 হামাসকে গাজা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান ও নিরস্ত্রীকরণ দাবি
🔹 ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের ঘোষণা: সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি, যদি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি না করে
🔹 ইসরায়েলের বিরোধিতা: প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দুই-রাষ্ট্র সমাধান প্রত্যাখ্যান ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলন বয়কট করে
🔹 মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ: গাজায় দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসাহীনতার শিকার লাখো মানুষ ৬০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত (গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র)
🔹 আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মিশনের প্রস্তাব: রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে শান্তি রক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান
🔹 ডিক্লারেশনের আবেদন: বিশ্বের সব দেশ যেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় অবৈধ দখল ও একতরফা আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান
🔸 রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব গুতেরেস: “গাজা একটি মানবিক বিপর্যয়ের কেন্দ্রে। এখনই যুদ্ধ থামাতে হবে।”
প্রত্যয় অনলাইন ডেস্ক, ৩০ জুলাই, নিউ ইয়র্ক: রাষ্ট্রসংঘের আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের এক সম্মেলনে বিশ্বের ১২৫টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সোচ্চার হন এবং ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করে স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। সম্মেলনে পাস হওয়া "নিউ ইয়র্ক ডিক্লারেশন" এক দীর্ঘস্থায়ী দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য ধাপে ধাপে পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।
যুদ্ধ বন্ধ ও মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলনের সূচনালগ্নে বলেন, “গাজার মানবিক বিপর্যয় সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত এবং একটি টেকসই দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পথে এগোতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গাজা বর্তমানে দুর্ভিক্ষ ও নিরাপত্তাহীনতার মুখে দাঁড়িয়ে আছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।
দুই-রাষ্ট্র সমাধান ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি
ডিক্লারেশনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন, নিরস্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে গঠিত হবে, যা ইসরায়েলের পাশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করবে এবং ধীরে ধীরে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে একীভূত হবে।
এই লক্ষ্যে: ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ শাসনক্ষমতা দেওয়া হবে, গাজায় যুদ্ধবিরতির পর একটি তদারকি প্রশাসনিক কমিটি গঠিত হবে, গাজা থেকে হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা মিশন
একটি "রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে অস্থায়ী আন্তর্জাতিক মিশন" পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ফিলিস্তিন অঞ্চলে শান্তি রক্ষা, নিরাপত্তা হস্তান্তর ও ভবিষ্যৎ চুক্তির পর্যবেক্ষণ করবে।
সম্মেলনের নেতৃত্ব ও পশ্চিমা শক্তির অবস্থান
সম্মেলনের সহসভাপতিত্বে ছিল ফ্রান্স ও সৌদি আরব, এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আরব লীগ এই প্রক্রিয়ার সক্রিয় অংশীদার।
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ঘোষণা করেছে, যদি আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনায় না বসে, তাহলে তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
ইসরায়েল ও আমেরিকার বিরোধিতা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিরোধিতা করে এই সম্মেলনকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ড্যানি দানন সম্মেলন অংশগ্রহণকারীদের সমালোচনা করে বলেন, “এই দেশগুলো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নয়, বরং তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।” আমেরিকাও সম্মেলনকে “অপ্রয়োজনীয় ও ভুল সময়ে আয়োজিত” বলে বয়কট করেছে।
আন্তর্জাতিক আহ্বান ও সমর্থন
ডিক্লারেশনটি বিশ্বের সব দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়, যেটিকে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের "অবিচ্ছেদ্য উপাদান" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
COMMENTS