News Brief: এই দেশ বাংলাদেশি অপবাদে রাজস্থানে আটক মালদার যুবকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সহমর্মিতা প্রকাশ জামাআতের প্রতিনিধিদলের প্রত্...
News Brief: এই দেশ
বাংলাদেশি অপবাদে রাজস্থানে আটক মালদার যুবকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সহমর্মিতা প্রকাশ জামাআতের প্রতিনিধিদলের
প্রত্যয় অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জুলাই:
রাজস্থানে কাজ করতে গিয়ে অন্যায়ভাবে 'বাংলাদেশি' তকমা জোটে মালদা জেলার কালিয়াচক থানার অন্তর্গত নারায়ণপুর গ্রামের যুবক আমির শেখ-এর ভাগ্যে। বয়স মাত্র ২১ বছর। পিতা জিএম শেখ। তিন মাস আগে জীবিকার তাগিদে তিনি রাজস্থানে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে পাড়ি জমালে, সেখানে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং বাংলা ভাষায় কথা বলার অপরাধে তাকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। নিজের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণস্বরূপ জন্ম সার্টিফিকেট, আধার কার্ড ও পিতার প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড ইত্যাদি দেখালেও পুলিশ তাঁর সব নথি ছিঁড়ে ফেলে এবং মোবাইল কেড়ে নেয়। ফলত, প্রায় দুই মাস জেল খাটার পর রাজস্থান পুলিশ তাকে বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেয়।
ঘটনার এখানেই ইতি নয়। বিএসএফ তাকে শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি জবরদস্তি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার করিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বলে অভিযোগ। ফলে এক ভারতীয় নাগরিক নিজের দেশেই পরবাসী হয়ে পড়েন। এই জুলুম-নিপীড়নের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে, আজ ২৯ জুলাই ২০২৫ তারিখ মালদা জেলা জামাআতে ইসলামী হিন্দ-এর এক প্রতিনিধিদল আমির শেখের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নারায়ণপুর গ্রামে যান।
সাক্ষাৎকালে আমির শেখের পিতা জিএম শেখ জানান, তাঁদের পরিবার কয়েক পুরুষ ধরে এই গ্রামে বসবাস করছেন এবং প্রমাণস্বরূপ ১৯৪১ সালের রেজিস্ট্রি দলিলও উপস্থাপন করেন। প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে আলোচনার সময় আমির শেখকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া নিয়ে মতবিনিময় করেন, পরিবারের হাতে কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সেইসঙ্গে বিপদের সময় ধৈর্য ধরার এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার পরামর্শও দেন।
এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন:
রাজ্য পরামর্শ পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার নুরুল ইসলাম, জেলা জামাআতের বিভাগীয় সম্পাদক জনাব মোঃ জার্জিস আলী, কালিয়াচক মোকামের মোকামী আমীর ইউসুফ আলি, বিশিষ্ট রুকন ও সমাজসেবক মাস্টার মোহাম্মদ তৈমুর হোসেন এবং আরও কয়েকজন স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এবং মানবাধিকার সংগঠনের নজরে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
COMMENTS